১১ টি স্মার্ট ও ইজি ফেসবুক মার্কেটিং আইডিয়া

 একজন বিক্রেতা বা বিপণনকারী হিসাবে, আমরা জানি যে, বর্তমানে অনলাইন ব্যবসায়ের জন্য ফেসবুকে একজন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ির উপস্থিতি কতটা আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা প্রয়োজনীয়। দিন যতই যাচ্ছে ফেসবুক কিন্তু ততোই অনলাইন ব্যবসায়ি তথা উদ্যোক্তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে। দৈনিক বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাথে বিপণনকারী বা ব্যবসায়িগণ কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের ক্রেতা সৃষ্টি করছে এবং প্রতিদিনই তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে নবীন উদ্যোক্তাদের এই বিষয়টি জানতে হবে। বিষয়টি জটিল হলেও সম্পর্কে জানা কিন্তু অসম্ভব নয়।



দেখুন ফেসবুক বিজনেস বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসার মাধ্যম। ফেসবুক বিজনেস বা এফ-কর্মাস সম্পর্কে যদি আপনার যথেষ্ঠ ধারণা না থাকে তাহলে কিন্তু অনলাইন ব্যবসা আপনি খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আর তাই ফেসবুক বিজনেস সম্পর্কে আপনার কিছু আইডিয়া থাকাটা খুবই জরুরী।

তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে আসি ১০ টি স্মার্ট ইজি ফেসবুক মার্কেটিং আইডিয়া নিয়ে অজানা বিষয়গুলো।

১। নির্দিষ্ট ক্রেতাকে  টার্গেট করুনঃ ফেসবুকে সফল বিপণন প্রচারাভিযান চালানোর জন্য আপনাকে আপনার বাজার বা ক্রেতা কে হবে তা বের করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ক্রেতা কারা হবেন সেটা আগে খুঁজে বের করতে হবে। সবকিছু একত্রে না করে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ক্রেতা টার্গেট করে ব্যবসা করতে হবে। গ্রাহক বেস বিশ্লেষণ এবং ক্রেতার ব্যক্তিত্বকে ধরতে পারলে আপনার জন্য ফেসবুকে ব্যবসা করাটা আরও সহজ হতে পারে।

২। ফেবুকে ব্যবসার কৌশল তৈরি করুনঃ-  ফেসবুকে বিজনেস করার আগে আপনি কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবেন তার একটি কৌশলপত্র ঠিক করে নিন। আপনি কত ঘন ঘন বিষয়বস্তু পোস্ট করতে যাচ্ছেন? আপনি কি ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে যাচ্ছেন? আপনার যারা ক্রেতা হবেন তারা কিভাবে আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে? আপনি বিজ্ঞাপনের জন্য মাসে কত টাকা ব্যয় করতে চাচ্ছেন? এসবের সঠিক কৌশল ঠিক করে নিন। ফেসবুকে বিসনেস করতে গেলে  বেশ কিছু খাতে আপনার টাকা ব্যয়  করা লাগতে পারে। যেমনঃ-

Ø  Running contests

Ø  Boosting posts

Ø  Retargeting

Ø  Main feed ads

Ø  Original content (posts & videos)

Ø  Branding


 

Facebook মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য, আপনার প্রচারাভিযান চালু করার আগে আপনাকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেইসাথে আপনার কাছে থাকা অন্য যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

৩। সহজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাঃ ফেসবুক প্রতিযোগিতা নতুন কিছু নয়, তবে এটি এই ফেসবুক অ্যাড টিপস্ কে সহায়ক করে। বিভিন্ন লোভনীয় অফার যুক্ত করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন যা আপনার বিক্রয়ের পরিমাণকে বাড়িয়ে তুলবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিযোগিতাটি যেনো কখনো জটিল হয়ে না যায়।

৪। সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর ভিডিও পোস্ট তৈরি করুনঃ ফেসবুক মার্কেটিংয়ের আর একটি স্মার্ট আইডিয়া হলো ভিডিও তৈরি করা। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা শুধু সময় ব্যয় করেন না কিছুটা বিনোদনও চায়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তারা একটা সামাজিক প্লাটফর্মে তাদের সময় ব্যয় করছে। আকর্ষণীয় থাম্বনেইল সহ ভিডিওটি যেনো ছোট এবং কার্যকর হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৫। পণ্যের এমন ছবি পোস্ট করুন যাতে চোখ আটকে যায়ঃ মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট হলো, অন্যেরা অঙ্গুলি যা নির্দেশ করে দেখায় মানুষজনও তাই দেখে। আপনার ফেসবুক বিজ্ঞাপনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশের দিকে দর্শকদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে এই সত্যটির সদ্ব্যবহার করুন। তখা পণ্যের এমন ছবি পোস্ট করুন যাতে ক্রেতার চোখ আটকে যায়।

৬। আপনার ফেসবুক পেজ সেট করুনঃ- আপনার ফেসবুক পেজ হল আপনার সোশ্যাল মিডিয়ারবেসক্যাম্প মনে রাখবেন ফেসবুক হলো সর্বাধিক ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, আর তাই আপনার ব্যবসায়িক পেজটিও এটি এমন হওয়া উচিত যাতে করে দর্শক বা শ্রোতা নিজে থেকেই আপনার পেজে আসতে উৎসাহ পান। আপনার পেজটিকে এমনভাবে সাজিয়ে নিন যা দৃষ্টি নন্দন হওয়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের চোখও যেনো আটকে যায়। তারা যেন আর দশজকে আপনার পেজটির গল্প করতে পারে।

৭। নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক, প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করেছেনঃ- একটি ওয়েবসাইটে আপনার নিজের সম্পর্কে থাকা তথ্যগুলো কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটটিকে উন্নত করে। আপনার Facebook পেজটি যদিও কোন ওয়েবসাইট নয় - তবে এটি কিন্তু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কেন্দ্র, তাই যতটা সম্ভব কোম্পানির তথ্য প্রদান করে এটিকে অপ্টিমাইজ করুন। আপনি আপনার ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং আপনার কাছে প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন অন্য কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের আপনার প্রতি আস্থা বাড়াবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আপনার ব্যবসা খুঁজে পাওয়া সহজ করে তুলবে৷

আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনার ব্র্যান্ড নামের সাথে পুরোপুরি মেলে এমন একটি URL পাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন, এমন কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন যা এখনও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সহজেই শনাক্ত করা যায়।

৮। আপনার ব্র্যান্ডকে মানবিক করে তুলুনঃ ফেসবুক সব মানুষের সঙ্গেই সম্পর্কিত। ফেসবুকের কিন্তু মূল উদ্দেশ্যটি ছিল বন্ধুদের সাথে আলাপচারিতা করা, আপনার ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া নয়।  আপনার ক্রেতাদের সাথে সংযোগ রাখতে আপনাকে ব্র্যান্ডের পিছনে থাকা লোকদের কেও দেখাতে হবে। অনেকেই এট করে আবার অনেকেই করে না।

৯। পণ্যের প্রচারের জন্য পুরস্কার প্রদান করুনঃ আপনি পেজ ভিউ, শেয়ার, মন্তব্য ইত্যাদির মাধ্যমে সাপ্তাহিক, মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আপনি আপনার কাস্টমারদের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে পারেন।

১০। আপনার পণ্য হাইলাইট করুনঃ- আপনি কি বিক্রি করছেন তা যদি আপনি লোকেদের মনে করিয়ে না দেন, তাহলে তারা শীঘ্রই ভুলে যেতে পারে। আর তাই আপনার পণ্যকে হাইলাইট করতে চেষ্টা করুন। প্রতিনিয়ত আপনার কাস্টমারদের মনে করিয়ে দিন আপনি কি বিক্রি করছেন। যা বিক্রি করছেন তার কোয়ালিটি কেমন। অর্থাৎ আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা হাইলাইট করার চেষ্টা করুন।

১১। পণ্যে বিশেষ অফার এবং ডিসকাউন্ট চালু করুনঃ- আপনি কেন ফেসবুকে আপনার পণ্যের বিশেষ অফার ডিসকাউন্ট দিবেন? কারণ, Facebook- প্রতিযোগিতা চালানো অর্থ হলো আপনার Facebook পেজে আরও বেশি লাইক পাবে  এবং আপনার ব্র্যান্ড এবং এটা হলো পণ্যের প্রচার বাড়ানোর একটি স্মার্ট উপায়৷

মনে রাখবেন, ফেসবুক প্রতিযোগিতা কিন্তু আপনার পণ্যের প্রচার এবং আপনার ব্যবসা প্রসারে খুব দ্রুত কাজ করে। Facebook- প্রতিযোগিতা চালানোর জন্য আপনার কোনো প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন নেই। শুধু মাউসের একটি ক্লিকই যথেষ্ট!

1 টি মন্তব্য:

  1. This is really interesting, You’re a highly trained writer. I’ve joined with your feed and furthermore , count on witnessing the very good write-ups. Additionally, I’ve shared your websites with our social networks.

    Racking System Supplier in China

    উত্তরমুছুন