১০ থেকে ২০ হাজার টাকার পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

 

ব্যবসা করার ইচ্ছা আমাদের সবারই কম বেশি রয়েছে। অনেকে অনেক আইডিয়া খুজেন। শুধু ইডিয়া খুজলেই হবে না। আপনাকে কাজ শুরু করে দিতে হবে। আজকে আমি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন এমন ১০ ধরনের ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আপনি চাইলে এই আইডিয়া গুলো কাজে লাগাতে পারেন।

 

পড়াশোনা কিংবা চাকরির পাশাপাশি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পুজিতে আপনি মোটামুটি ভালো মানের কোন পন্য দিয়েই ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন। ব্যবসার জন্য পুজিটা বড় কথা না। আপনার ব্যবসা করার মন মানসিকতা, আপনার সৃজনশীলতা, চিন্তাভাবনার ধরন, আপনার কৌশল, গ্রাহকের চাহিদা বুঝাটাই বড়।

মনে রাখবেন পুজি অনেকেরই থাকে কিন্তু ব্যবসায়ী সবাই হতে পারে না। আপনার যদি মনে হয় আপনি ব্যবসা করে ভালো কছিু করতে পারবেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শুরু করে দিন।

 

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে চলুন জেনে আসি ব্যবসা করার জন্য প্রথমে কেন আমাদের কম পুজি দিয়ে শুরু করা উচিৎ। প্রথমে কম পুঁজি নিয়ে কারণ, যে কোন ব্যবসার প্রথম দিকে সেই ব্যবসা সর্ম্পকে আমাদের ধারনা কম থাকে, কম পুজির উপর কোন ভুল হলে তা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি, তাতে করে ভবিষ্যতে ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে আর ভুল সংশোধন করা সহজ হয়

 

আর প্রথমে যদি তুলনামূলক বেশী পুজির ব্যবসার উপর কোন ভুল হলে ভুল সংশোধন করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং একটা পর্যায়ে ভুল সংশোধন করতে করতে ব্যবসাই ধ্বংস হয়ে যায়। তাছাড়া আমরা যদি বড় বড় কয়েকজন ব্যবসায়ীর ব্যবসা জীবন শুরুর দিক বিশ্লেষন করি তাহলে দেখা যায় যে তারা অনেকেই সল্প পুজি দিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করেছিল। আপনি যদি ভেবে থাকেন অনেক পুজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন আর অল্প দিনেই লাখপতি/ কোটিপতি হবেন, তাহলে আপনার ধারনা সম্পূর্ন ভুল খরগেf আর কচ্ছপের গল্পটা হয়তে আপনারা সবাই জানেন। আমরা যেন খরগেশ না হয়ে কচ্ছপের মতে গুটি গুটি পায় সামনের দিক এগিয়ে যেতে পারি।

 

১। কাস্টমাইজড গয়না তৈরি: বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হলো কাস্টমাইজড গয়না তৈরি। এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে নিত্য নতুন ধরণের গয়না তৈরি করুন, অভিনবত্ব আনুন গয়নার ডিজাইন, স্টাইল আর উপকরণে। অফলাইন এবং অনলাইন এই দুইটা ক্ষেত্রেই আপনি গয়নার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর ব্যবসা করতে ২০ হাজার টাকাও লাগবেননা। মাত্র ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর এই ধরণের গয়না তৈরির উপকরণ সহজেই পাওয়া যায় ঢাকার বিভিন্ন বাজারে। পছন্দ মতো উপকরণ সংগ্রহ করে বাড়িতে বসে সহজেই বানিয়ে ফেলুন গয়না। অথবা আপনি চাইলে ইমিটেশন জুয়েলারির ব্যবসা করতে পারেন সামাজিক যোগাযোগ এর প্ল্যাটফর্মগুলোতে। পাইকারি হারে জুয়েলারি কিনে, সুন্দর মত ছবি আপলোড করে অল্প একটু দাম বাড়িয়ে বেচতে পারেন। আর গয়নার পাইপাকি বাজার খুব বেশি দূরেও নয় একদম হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন।

রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের গয়না হাট, হাজী সেলিম টাওয়ার, চকবাজার , ঢাকা নিউমার্কেট তৎসংলগ্ন গাউছিয়া মার্কেট গেলে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনার। থরে থরে সাজানো বাহারি রঙের ঢঙের গয়না। এখানে পাবেন ভারী নেকলেস সেট থেকে শুরু করে ছিমছাম ডিজাইনের সব ধরনের গয়না। জড়োয়া সেট, কানের দুল, ঝুমকো, চুড়ি, টিকলী, আঙটি, ব্রেসলেট, বিছা, কাঙ্গি, হাত পাঞ্জা যা চান তাই পাবেন মনের মতো।

 

 

 

২। অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি: দেশে রয়েছে হস্তশিল্পের বিপুল সম্ভার। আমাদের দেশের হস্তশিল্প অনেক সম্ভবনাময় একটি ব্যবসা। হস্তশিল্পের প্রতি মানুষের আলাদা একটা টান রয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করে হস্তশিল্পের নানা দ্রব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। হস্তশিল্পের ব্যবহৃত কাঁচামালের সবই স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় বলে এটি শুরু করাও খুব সহজ।। ব্যবসা শুরু করতে ছোট ছোট ঘর সাজানোর সামগ্রী সংগ্রহ করুন, অথবা ছোট গয়না, খেলনা, ছাইদানি, কার্পেট, নকশি কাঁথা, দেওয়ালে ঝুলানোর সামগ্রী, হাত ব্যাগ, ভ্রমণ ব্যাগ এগুলির নান্দনিক এবং কারিগরি অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঘরে বাইরে নানা কাজে এগুলি ব্যবহূত হয়। গ্রামীণ শিল্পীরা অনেক কম দামেই বিক্রি করেন তাঁদের তৈরি সামগ্রী। তাই অত্যন্ত কম খরচে লাভের ব্যবসা করা সম্ভব।

 

৩। অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি: আপনার যদি বাংলা সাহিত্য নিয়ে যথেষ্ট জানাবোঝা থাকে তাহলে ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। অ্যামজন ফ্লিপকার্টের সৌজন্যে ইংরেজি মূলধারার অনেক বই অনলাইনে পাওয়া গেলেও বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে সুযোগ এখনও কম। বিশেষতঃ পুরনো বা দুষ্প্রাপ্য বাংলা বই অনলাইনে পাওয়াই যায় না। বড় প্রকাশক থেকে শুরু করে নতুন ছোট প্রকাশকদের বইও রাখতে পারেন আপনার সংগ্রহে।  নীলক্ষেত বাংলাবাজার, আজিজ মার্কেট  যদি আপনার নখদর্পণে হয় এই ব্যবসা আপনার জন্য। নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ফেসবুকের মাধ্যমে এই ব্যবসা করতে পারেন। অর্ডার অনুযায়ী ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দিন বই। প্রচুর বই কিনে ব্যবসা শুরুর দরকার নেই। অর্ডার এলে বই সংগ্রহ করে পৌঁছে দিন ক্রেতার হাতে।"

 

৪। মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা: এই শহরে বিশুদ্ধ পানির বড়ই অভাব। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে অনেকেই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এক্ষেত্রে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া। কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা করতে হলে বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দেওয়া একটা সহজ উপায়। আপনি ১০২০ হাজার টাকায় এই  ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। শহরাঞ্চল শহরতলিতে বহু পরিবারই পানির জন্য নির্ভর করে এই পানি বিক্রেতাদের ওপর। এই কাজ একটু পরিশ্রমের কেননা এক্ষেত্রে আপনাকে ভ্যানে করে পানির ড্রাম টেনে নিয়ে হবে শহরের অলিতে-গলিতে।

 

৫। ফুড ভ্যান: ফুড ভ্যান খুব জনপ্রিয় একটি ছোট ব্যবসা। বিভিন্ন স্কুল/কলেজের সামনে, রাস্তার মোড়ে, পার্কে মোট কথা যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে ফুড ভ্যান চলেও বেশি। বিশেষ করে বিকাল সন্ধ্যায় মুখরোচক খাবারগুলো চলে বেশি। ছোট ফুড ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করলে ১০হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। ফুট ভ্যানে সিংগাড়া, সমুচা, পিয়াজু, চটপটি, ফুসকা থেকে শুরু করে রাখতে পারেন রোল-চাউমিন অথবা বার্গার-স্যান্ডউইচের মতো সুস্বাধু মুখরোচক খাবার। নতুন ধরণের বিভিন্ন খাবারও রাখতে চেষ্টা করতে পারেন। মনে রাখবেন এক্ষেত্রে খাবার সুস্বাদু হওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারলে বিক্রি ভাল হবে। অফিস এলাকায় বিক্রি বেশি হওয়া সম্ভাবনা বেশি।

 

৬। ফুড ডেলিভারি : কথায় আছে বাঙালি হলো ভোজন রসিক। তারা খেতে পছন্দ করেন। আর এই ভোজন রসিক বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে পারলে ব্যবসা অভাব হবে না। অল্প টাকায় অর্থাৎ ১০-২০ হাজার টাকায় এই  ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে নিজের বাড়ি থেকেই ব্যবসা করুন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটা রান্নাঘর, ভাল রান্নার কারিগর আর সুস্বাদু রেসিপি। তবে মনে রাখবেন খাবারের মানের সাথে কিন্তু কোন আপস করা যাবে না।

 

বর্তমান যুগে খাবার পৌঁছে দেওয়া নিয়েও আর ভাবতে হবে না আপনাকে। পাঠাও ফুড, ফুডপান্ডা, ফুডি, সহজ ফুড, হাংরি নাকি এধরনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো রেডি হয়ে আপনার অর্ডারের জন্য আপনার কাজ শুধু খাবার অর্ডার নেওয়া আর সেই মতো খাবার প্রস্তুত করা। তবে মনে রাখতে হবে সারা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাজারো খাবারের দোকান, তাই তাদের সাথে পাল্লা দিতে খাবারের গুণমান স্বাদের দিকে রাখতে হবে কড়া নজর আর নজর দিতে হবে অভিনব নতুন রেসিপিতে। দেশ বিদেশের নানা রেসিপি থেকে পেতে পারেন আইডিয়া।

এতো গেল খাবার প্রস্তুত করে মার্কেটিংয়ের কথা। কিন্তু  যদি তাও না পারেন-শুধুমাত্র ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন শুধু মাত্র একটি বাই সাইকেল/মটর সাইকেল একটি মোবাইল। সেখান একটি এপ ইনস্টল করে কাজে লেগে যেতে পারেন। রাজধানীর বড় বড় মার্কেট/শপিংমল এবং সরকারী অফিসগুলো আপনার টার্গেট।এসব স্থানে কয়েক লাখ কর্মচারী কাজ করে।সবাইতো আর বাসা থেকে খাবার আনে না।কেউ হোটেলে খায় আবার কেউ সাপ্লায়ার থেকে কিনে খায়।

 

৭। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট (Social Media Management): ধারণাটি আমাদের দেশে নতুন হলেও দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন কোম্পানি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করছে। আর এই কাজের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ জানা দক্ষ কর্মী।

অনেক ক্ষেত্রেই কোম্পানীগুলো নিজেরদের কর্মী নিয়োগ না করে এই কাজের জন্য বাইরের বিভিন্ন সংস্থা বা কর্মীর ওপর নির্ভর করে। তাই আপনি যদি এই কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে ঘরে বসে ব্যবসা করেই আপনি রোজগার করতে পারবেন।

স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে যে কাজ গুলো করতে পারবেন:

·         ফেইসবুক বিজ্ঞাপন করে পেইজ প্রমোট ব্যবসা

·         ওয়েব ডিজাইন ,

·         ইউটিউব পেইজ প্রমোট ব্যবসা।

·         বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি কাজ

 

৮। অনলাইনে প্রডাক্ট সেল: বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রহনযোগ্য ব্যবসা হলো বাজার থেকে ভাল গ্রহনযোগ্য কিছু জিনিস পাইকারি ক্রয় করে তা কম্পিউটার রং ডং সাজিয়ে ভালকরে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্যটি অনলাইনে সেল করা বা বিক্রি করা। ব্যস শুরু হয়ে গেল আপনার অনলাইন ব্যবসা। অনলাইন বিজনেসের সবচে বড় সুবিধা হলো এই ব্যবসার জন্য আপনার কোন নির্দিষ্ট জায়গা বা দোকানের দরকার নেই। যেকোন জায়গায় থেকেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন। আর সবথেকে বড় সুবিধা হলো অল্প টাকায়, কম পণ্য দিয়েই আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়েই আপনি পাইকারিতে পণ্য কিনে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

 

৯। বই খাতার ব্যবসাঃ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় করতে পারেন এই ব্যবসা। বাংলা বাজার, নীলক্ষেত বা এইধরণের বই বাজার থেকে বই , খাতা ,পেন, পেনন্সিল ইত্যাদি অর্থাৎ ষ্টেশনারি দ্রব্যাদি কমদামে কিনে নিজে দোকান করে বা দোকানে দোকানে বিক্রয় করে ব্যবসা চালু করতে পারেন এই ব্যবসা। মনে রাখবেন বই  খাতা তথা ষ্টেশনারি ব্যবসায় কিন্তু দারুন লাভ হয়। আর সুবিধা হয় যদি আপনি আপনার এলাকার কোচিং সেন্টার টিউশন সেন্টার, ছোট-বড় অফিস গুলোকে ধরতে পারেন। আপনার কাজ হবে এসব কোচিং সেন্টার টিউশন সেন্টার, অফিসগুলোতে সময়মত বইখাতা বা ষ্টেশনারি পণ্যগুলো সরবরাহ করা। ২০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে আপনি তা বৃদ্ধি করুন। যদি সরাসরি মেনুফেকচারের কাছ থেকে খাতা,পেন ইত্যাদি কিনতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনেও বিক্রি শুরু করতে পারেন। কম টাকায় বই খাতা বিক্রি একটি দারুন ব্যবসা।

 

১০। ভিজিটিং কার্ড অথবা নেমপ্লেটের ব্যবসাঃ এই ব্যবসাটিও আপনি মাত্র  ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে চালু করতে পারেন। প্রত্যেক ব্যবসায়িকদের এবং অফিসের বসদের ভিজিটিং কার্ড দরকার হয় আর অফিসলোতেও সুন্দর সুন্দর নেমপ্লেটের দরকার হয়। আপনি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বিভিন্ন অফিস আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিজিট করে যাদের ভিজিটিং কার্ড এবং নেমপ্লেটের প্রয়োজন তাদের সাথে কনট্যাক্ট করতে পারেন। এবং তা ডেলিভারি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।


১১। ফুটপাতে জুস বিক্রিঃ অল্প টাকায় খুব চাহিদা সম্পন্ন একটি ব্যবসা। এই ব্যবসার জন্য আপনার লাগবে টি ভালো মানের ব্লেন্ডার মেশিন। যার বাজার ভেদে দাম পড়বে ,২০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। গরমকালে এই ব্যবসার চাহিদা থাকে প্রচুর।

 

কাঁচা আমের জুসের ব্যাপক চাহিদা। আমের মৌসুমে কাঁচা আম কিনতে পারবেন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে,সাথে বিট লবন,চিনি, কাঁচা মরিচ,পুদিনা লাগবে। খরচ ১০০০। সাথে অল্প পরিমানে মাল্টা/ কমলা/ পেঁপে রাখতে পারেন। বিক্রি করতে পারেন লেবু পানির জুসও। এই পানির প্রচুর চাহিদা আছে।

 

দৈনিক একটি ব্যাস্ত ফুটপাতে ১০০-২০০ গ্লাস জুস অনায়সে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি গ্লাস কাঁচা আম/জলপাই জুস ২০ টাকা বিক্রি করে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। কমলা/মাল্টা ৩০ টাকা বিক্রি করে - টাকা লাভ হবে। মনে রাখবেন শীতকালে কিন্তু এই ব্যবসা  চলবে কম তাই অলটারনেট অপশন হিসেবে শীতের সময দিনে জুস রাতে ডিম এর ব্যবসা করতে পারেন।

 

১২। হোম-বেইসড বিজনেসঃ বর্তমানের খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া হলো হোম বেইজড বিজনেস। হোম-বেইসড বিজনেস হলো এমন ব্যবসা যে ব্যবসাগুলো আপনি আপনার বাড়ি থেকে পরিচালনা করতে পারেন। এই ধরনের ব্যবসাগুলোর জন্য সাধারণত খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় আপনি যেকোনো ধরনের হোম-বেইসড বিজনেস শুরু করতে পারেন। যেমন টেইলারিং, সেলাই, ইলেকট্রনিকস মেরামত, হোম মেইড ফুড ইত্যাদি। এই ব্যবসার সুবিধা হলো আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

 

১৩। সিভি ডিজাইনা ব্যবসাঃ ব্যবসাটির কথা শুনে আপনার অবাক হওয়ার কিছু নেই। আপনি যদি বর্তমানে চাকরির বাজার একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, যে বর্তমান ভালো সিভি তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে একজন চাকরিপ্রার্থী যখন কোন কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায় তখন সে কিন্তু কোম্পানিতে আগে পৌছায় না, পৌঁছায় কিন্তু তার সিভি। আর এই সিভিকে অনেকেই প্রফেশনালভাবে ডিজাইন করতে পারেন না। যার কারণে বেশ কিছু জায়গা থেকে তার জব অফার তো দূরে থাক ইন্টারভিউ কলই আসে না। তাই আপনি এই বিষয়ের উপরে কিছুটা অভিজ্ঞ হয়ে একটি ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন যা খুবই অল্প টাকা খরচ করে তৈরি করা যেতে পারে।

 

আর যে কোনো ব্যাবসাতেই সততা নির্ভরতা সবচেয়ে বড় পুঁজি। মানুষ ঠকায়ে বেশিদিন ব্যাবসা করতে পারবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন