ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। ভোরের বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিন। নীরব প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটালে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি উদ্বেগও কমে যাবে।
জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করুন। জাঙ্ক ফুড বা ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করতে পারে । কারণ এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে মেদ জমে যায় শরীরে।
গতকাল আপনি কেমন ছিলেন? কি করেছিলেন? তার সাথে আজকে নিজেকে তুলনা করা শুরু করুন। আপনার চলার পথের ভুলগুলো খুব সহজেই ধরতে পারবেন।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা শুরু করুন। এটা হতে পারে সাইকেল চালানো, জোরে হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতারের মতো ব্যায়াম। ব্যায়ামের মাধ্যমেই আপনি যেমন সুস্থ থাকতে পারবেন তেমনি কোনো অসুখও ছুঁতে পারবে না আপনাকে।
একা না থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিত জনদের সাথে মেলামেশা শুরু করুন। তাদের খোঁজ-খবর নিন। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে একদিন হলেও ফোন দিন। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বেড়াতে যান। এভাবে তাদের সাথে চিরস্থায়ী সংযোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন কারণ এই সম্পর্ক আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে অনেক সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত আরাম থেকে বেরিয়ে আসুন। মনে রাখবেন শরীর ভালো রাখার জন্য এবং সুস্থ রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ করা কিংবা ব্যায়াম করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন এবং একই ভুল বারবার না করার চেষ্টা করুন। কোন কিছু ভুল করলে সেই ভুলকে স্বীকার করে নিন। ভুল স্বীকার করার মতো সাহস সবার নেই বলেই একই ভুল মানুষ বারবার করে। আবার ভুলের জন্য নিজেকে বারবার দোষারোপ করাও ঠিক না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারাই অতি উত্তম কাজ।
আপনার স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনুন। দেখুন
প্রযুক্তির এই যুগে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাব, স্মার্ট টেলিভিশন ছাড়া নিজেকে কল্পনা করা যায় না। বাড়ির শিশু থেকে শুরু করে
বৃদ্ধরা পর্যন্ত সবার হাতেই চলে এসেছে এসব গ্যাজেট। দিন –রাতের বড় একটা সময় আমাদের পার এসব স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। ফলে
চোখে নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার
পাশাপাশি আমাদের মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রভাব
পড়ছে। উৎপাদন ক্ষমতা যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি অহেতুক সময় নষ্ট করে ফেলছি আমরা। তাই
নিজেকে উন্নত করতে হলে স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সবার আগে।
নিজের ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ করা বন্ধ করুন। আসলে দেখুন মানুষের স্বভাবই হলো এমন যে, নিজের অক্ষমতা কিংবা ব্যর্থতাকে সহজে সে স্বীকার করতে চায় না। ব্যর্থতার দায় এড়াতে মানুষ নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। দাম্পত্য জীবন থেকে শুরু করে যেকোন সম্পর্ক, হোক সেটা বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন, অফিসের বস, প্রতিবেশী, বন্ধু, এমন কেউ নেই, যাকে সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজের ব্যর্থতার জন্য দোষী বানায় না।তাই চলার পথে ভুল হলে, ব্যর্থ হলে দোষ স্বীকার করুন। দিন শেষে আপনিই ভালো থাকবেন।
কৃতজ্ঞতা অনুশীলন শুরু করুন। কৃতজ্ঞতার ক্ষমতা সত্যিই অবিশ্বাস্য। যারা আপনার দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে,যে বন্ধুটি একদিন হলেও আপনাকে একটা পড়া দেখিয়ে দিয়েছে, এমনকি প্রচন্ড পিপাসার্থ দিনে যে ব্যক্তিটি আপনাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে আপনার পিপাসা নিবারণ করিয়েছিল তারও প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট জার্নাল লিখুন। কবিতা, গল্প লিখুন। দৈনন্দিন ঘটনাবলী নিয়ে ডাইরি লেখার অভ্যাস করুন। বই পড়া শুরু করো প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ পৃষ্ঠা পড়ুন।
এইসব যদি আপনি করতে পারেন তাহলে ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে আপনি অবশ্যই উন্নতি দেখতে পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন