পুরো বিশ্ব এবং মহাকাশকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেই যে কোন বিষয়ে তথ্য খোঁজার জন্য আমরা সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সাহায্য নিই। কারণ একটাই আপনি যে কোন বিষয়েই গুগলে খোঁজ করুন না কেন মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই তার ফলাফল আপনার সামনে হাজির করবে গুগল। প্রযুক্তির এই যুগে অনেক কাজই সহজ করে দিয়েছে গুগল। গুগল হচ্ছে মহাজ্ঞানী। সবকিছুই তার নখদর্পনে। আপনি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দিযে যা খুঁজবেন, আপনার সামনে সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে দিবে মুহূর্তেই। তবে তাই বলে এমন না যে, আপনি সবকিছুই গুগলে খুঁজবেন। ইন্টারনেটের বিশাল ভান্ডারে এমন কিছু তথ্য আছে যেগুলো গুগলে সার্চ করার ফলে আপনি বড় বিপদে পড়তে পারেন। গুগলে এসব সার্চ করা অনৈতিক বা বেআইনি কার্যকলাপ বলে পরিগণিত হয়। তাই কিছু জিনিস সার্চ করতে গেলে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। কোন চারটি বিষয় গুগলে সার্চ করা থেকে বিরত থাকবেন চলুন জেনে আসি।
০১। বোমা তৈরির নির্দেশিকা: ‘how to make a bomb’ বা ‘কিভাবে বোমা বানানো যায়’, এর মতো কি-ওয়ার্ড দিয়ে যদি আপনি গুগলে সার্চ করেন বা গুগলের কাছে বোমা বানার কৌশল জানতে চান তাহলে তা অনেক বড় বিপদের কারণ হতে পারে আপনার জন্য। কারণ এ ধরণের বিষয় সার্চ করা বেশির ভাগ দেশেই গুরুতর অপরাধমূলক কাজ হিসাবে গণ্য। সেই সঙ্গে এটিকে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং এই ধরণের সার্চের জন্য প্রশাসন আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে। শুধু বোমা তৈরি কেন, মানুষের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু গুগলে সার্চ করা থেকে বিরত থাকুন।
২। শিশু পর্নোগ্রাফি: শিশু পর্নোগ্রাফি মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো গুগল সার্চ করা আসলে বেআইনি। বিশ্বের প্রায় সবদেশেই চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সার্চ করা, দেখা কিংবা অ্যাক্সেস করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এর ফলে আপনার জেল-জরিমানাও হতে পারে। তাই এই ধরনের সার্চ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। হ্যাকিং টিউটোরিয়াল: বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে হ্যাকিং বড় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আপনি হয়তো এথিক্যাল হ্যাকিং এর কথা বলতে পারেন যা আইনগতভাবে সঠিক। তবে এর জন্য সার্টিফিকেশন দরকার। তবে মনে রাখবেন যদি আপনি হ্যাকিংয়ের টুলস কিংবা কৌশল সার্চ করেন তা কিন্তু অবৈধ। কিছু কিছু দেশে এগুলো অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে।
৪। কোনও সিনেমার পাইরেটেড ভার্সন খোঁজা, শেয়ার করা বা দেখা অপরাধের তালিকায় পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নির্মাতাদের অধিকার রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। আর তাই এর ফলে আপনাকে বিপুল জরিমানা গুনতে হতে পারে কিংবা কারাদণ্ড পর্যন্ত ভুগতে হতে পারে। গুগলে পাইরেটেড মুভির খোঁজ না করে আপনি বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন করে সিনেমা দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন