মঙ্গলের বুকে ফুটলো ফুল

লালগ্রহ মঙ্গলেফুল ফুটেছে। আর এটার নজর এড়াতে পারেনি সেখানে বিচরণকারী যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবটযান কিউরিওসিটির। গ্রহটিতে প্রাণ আছে কিনা, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন কার্বন ডাইঅক্সাইড আছে কিনা, এসব নিয়ে গবেষণা চলছে। নাসার কিউরিওসিটি রোভার সম্প্রতি যে ছবি প্রকাশ করেছে সেখানে ফুলের মতো দেখাতে একটি জিনিসই দেখা গিয়েছে।

 

ছবিঃ সংগৃহীত

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিউরিওসিটির পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। খবর সায়েন্স অ্যালার্টের।


আকার-আকৃতি ফুলের মতো হলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে সঞ্চিত খনিজের কারণেই এই ফুলের মতো দেখতে জিনিসটি তৈরি হয়েছে। তবে গাছে ফুটে থাকা রঙিন ফুলের সঙ্গে এর অনেক পার্থক্য। কারণ খনিজ দিয়ে তৈরি হওয়ার ফলে এই ফুলে নেই প্রাণের অস্তিত্ব। বরং দেখতে অনেকটা কোরাল বা সমুদ্রের নীচে সঞ্চিত অবয়বের মতো।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলে বহু কোটি বছর আগে পানির স্রোত বইত। ছিল বড় বড় নদীনালা জলপ্রপাত। সেই পানিতে থাকা কিছু খনিজ পদার্থ নিচে জমে পাথরে রূপ নিয়েছিল। তাতে সালফেট জাতীয় লবণও ছিল। কোটি কোটি বছরে সেই পাথর ক্ষয়ে বিলীন হয়েছে। কিন্তু লবণ ক্ষয় হয় না বলেই এখনও টিকে আছে। এই ফুল তেমনই কয়েকটি খনিজ পদার্থের মিশ্রণ হতে পারে।


ছবিঃ সংগৃহীত


লালগ্রহের বুকে Mount Sharp এলাকার কাছে এই গঠনের ছবি তোলা হয়েছে। ওই এলাকাতেই সঞ্চিত হয়েছে খনিজ এবং তা ফুলের আকার ধারণ করেছে। এই Mount Sharp হল একটি মার্সিয়ান মাউন্টেন বা মঙ্গলগ্রহের পাহাড়। এই পাহাড় মার্চ মাসের মধ্যে Gale crater- এর মধ্যে সেন্ট্রাল পিক বা কেন্দ্রীয় শিখর গঠন করবে। নাসার কিউরিওসিটি রোভার এই ক্র্যাটার অন্বেষণের জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের অগস্ট মাস থেকে মঙ্গলগ্রহের বুকে সেই কাজই করছে নাসার কিউরিওসিটি রোভার।

কিউরিওসিটি রোভারের ডেপুটি প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট অ্যাবিগেল ফ্রেম্যান তার টুইটে লিখেছেন, এই ফুল এক ধরনের লবণ দিয়েও তৈরি হতে পারে, যাদের সালফেট বলা হয়। পৃথিবীতেও এই সালফেট জাতীয় লবণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন