জীবনকে নিয়ে ভাবুন দুঃখ চলে যাবে

কষ্ট ভুলে থাকার জন্য আমরা কতো কিছুই না করি। শুধুমাত্র একটু আনন্দ লাভের জন্য আমরা বাংলা - হিন্দি - ইংলিশ  মুভি - মিউজিক ভিডিও দেখি, নাটক দেখি, হিন্দি সিরিয়াল দেখি, পর্ণ মুভি দেখি, ভিডিও গেম খেলি রংবেরঙের পানীয় পান করি। এমন হাজারো বিনোদনে বুঁদ হয়ে থাকার চেষ্টা করি বাস্তবতাকে ভুলে থাকতে। মনে হয়, আহ্ জীবনটা কতোই না আনন্দময়।


আনন্দ - বিনোদন শেষ হলে একরাশ বিরক্তিতে মন ভরে যায়। মনে হয়, ধুত্তরি ছাইএতো তাড়াতাড়ি সব শেষ হলো ক্যান? তখন কথাশিল্পী তারাশঙ্করের নিতাই এর মত সেই পুরনো প্রশ্নই নিজেকেই করি- “হায়, জীবন এত ছোট কেনে? ভুবনে?”

কিন্তু আমরা একবারের জন্যও ভাবি না যে, জীবন আসলে ছোট নয়, জীবন অনেক বড়। না পাওয়ার বেদনাটা যখন ভারি হয়ে আসে তখনই হয়তো জীবনটাকে এতো ছোট মনে হয়। সমস্যা হলো আমরা ব্যর্থতায় একবার যদি আমরা পতিত হই সেখান থেকে উঠার কোন জোর চেষ্টা করি না। কেউ একজন এসে টেনে তুলবে সেই আশায় দিনাতিপাত করি। ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার চেষ্টা করেছেন কয়জন?

কথায় আছে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে। অন্যেরা কি ভাবছে আপনাকে নিয়ে সেটা নিয়ে তো আপনার ভাবার দরকার নেই। মনে রাখবেন আপনি তাই করতে পারবেন যা কিনা আপনি ভাবছেন। জীবনে কখনো খারাপ সময় আসলে আমরা ভেবে নিই জীবনটা বুঝি শেষ হয়ে গেল। আমরা একটু অন্যভাবে ভাবি না, একবার যদি চিন্তা করি, এরপর হয়তো জীবনটা ভালো কাটবে। বিধাতা হয়তো এই খারাপ সময়ের পরেই ভালো কিছু রেখেছেন। সবকিছু ইতিবাচক ভাবে নিই না কেন?

যে কথা দিয়ে শুরু করছিলাম- কষ্ট ভুলে থাকার আনন্দের দরকার আছে। মেনে নিলাম। এবং এটা সত্যও বটে। কিন্তু পাশাপাশি ধৈর্য্যশক্তিরও প্রয়োজন আছে। ধৈর্য্য ধরুন আর মাথা খাটান। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে মাথাটা এমনিই দেয় নি। মাথা খাটিয়ে আপনি অনেক কিছুই বের করতে পারবেন।


আজকের আলোচনা শেষ করবো উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর একটা বিখ্যাত উক্তি দিয়ে। তিনি  বলেছেন-

“আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়” 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন