ঘুম শরীরকে চাঙ্গা রাখে। মানসিক চাপ কমায়, পুনরায় কাজ করার শক্তি এই ঘুমের প্রতি আমাদের অনেকেরই আলাদা দুর্বলতা আছে। অনেকের ঘুম এতটাই প্রিয় যে অফিসের ফাঁকেও টুক করে একটু ঘুমিয়ে নেন।
মূলত যে কোনও ব্যক্তি তার ঘুম সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঘুমাতে চায়। প্রত্যেকের ঘুমানোর সময় আলাদা। কেউ কেউ দুই থেকে চার ঘন্টা ঘুমায়, আবার কেউ কেউ সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে ভালোবাসে।
জোগায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন মানুষের কত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন? একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। যেমন শিশুদের একটু বেশি ঘুমাতে হয় প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়।
তবে আপনি কী কল্পনা করতে পারেন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ঘুমিয়ে যাচ্ছে সবাই । এমনই একটি গ্রাম আছে এই পৃথিবীর বুকে
প্রিয় পাঠক! আজ আপনাদের সাথে এমন একটি গ্রামে মানুষদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যারা কিনা চলতে ফিরতে ঘুমিয়ে পড়েন। মাসের পর মাস একটানা চলতে থাকে তাদের ঘুম।
মধ্য এশিয়ার একটি দেশ কাজাখস্তান। এই কাজাখস্তানের একটি গ্রাম আছে যেখানে মানুষ হাঁটার সময়ও রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, ঘুমানোর পরেও এই লোকেরা অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকেন। এই গ্রামের নাম কালচি। কালচি গ্রামের মানুষেরা অস্বাভাবিক রকমের ঘুম কাতুরে। আসলে, এই গ্রামের মানুষ রহস্যময় ঘুমের অসুস্থতায় ভুগছেন। এই লোকেরা একবার ঘুমানোর পরে কয়েক মাস ধরে ঘুমাতে পারে। লম্বা ঘুমের প্রথম ঘটনাটি ২০১০ সালে ঘটেছিল। যখন কিছু শিশু হঠাৎ স্কুলে ঘুমোতে শুরু করে। তারপরে, এই গ্রামে, একের পর এক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেন।
বিজ্ঞানীরা নিয়মিত এই গ্রামে এই রোগ নিয়ে গবেষণা করছেন, তবে
আজ অবধি বিজ্ঞানীরা এই রোগ সম্পর্কে কিছু জানতে পারেননি। অনেক চিকিত্সক এবং বিজ্ঞানীরা এই রোগ নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত থাকলেও এই রোগ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারেননি। এখানকার লোকেরা এত দিন কীভাবে ঘুমোতে পারে তা দেখে তারা অবাকও হন।
এই আশ্চর্যজনক রোগের গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৬০০ মানুষ। বর্তমানে গ্রামের ১৪ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই রহস্যজনক রোগে ভুগছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হ’ল যাদের এই রোগ রয়েছে তারা জানেন না যে তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। এখানকার লোকেরা রাস্তায় বা যে কোনও জায়গায় ঘুমোতে দেখতে পাবেন। বাজার, স্কুল
বা এমনকি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই অনেকে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপরে তিনি বেশ কয়েক দিন ঘুমান। এটি উল্লেখযোগ্য যে এই গ্রামে একসময় ইউরেনিয়াম খনি থেকে ইউরেনিয়াম উত্তোলিত হতো। ধারণা করা হয় যে এই খনিটির কারণে লোকেরা এই অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এই
গ্রামে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেজস্ক্রিয়তা নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন